ভিটামিন ‘এ’
ভিটামিন-এ চর্বিতে দ্রবণীয় একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন। ভিটামিন এ-এর রাসায়নিক নাম রেটিনল । এটি বর্ণহীন ও তাপে কম নষ্ট হয়। তবে উচ্চ তাপে ও অতিবেগুনি রশ্মিতে নষ্ট হয়।
ভিটামিন এ'র কাজ-
চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখার জন্য এই
বিভিন্ন গ্রন্থিকে স্বাভাবিক ও কর্মক্ষম রাখে।
বিভিন্ন সংক্রামক রোগের আক্রমণ রোধ করে।
ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে ।
জীবদেহের সার্বিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।
ত্বক ও ঝিল্লির কোমলতা ও সজীবতা রক্ষা করে।
রাতের বেলায় বা অন্ধকারে অল্প আলোতে দেখতে ভিটামিন-এ সহায়তা করে ৷
খাদ্য উৎস – ভিটামিন এ এর উৎসকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
(১) প্রাণিজ উৎস – ভিটামিন এ প্রাণিজ খাদ্যে এবং কোনো কোনো প্রোটিনের সাথে যুক্ত অবস্থায় পাওয়া - যায়। ডিম, কলিজা, চর্বিযুক্ত মাছ, সামুদ্রিক মাছ এর কলিজায়, হ্যলিবার্ট ও শার্ক ইত্যাদি মাছের তেল, ইলিশ মাছ, ইত্যাদিতে পাওয়া যায়। দুধে বিশেষ করে কোলেস্ট্রামে যথেষ্ট ভিটামিন এ থাকে।
(২) উদ্ভিজ্জ উৎস – উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশে হলুদ, কমলা বা হলদে-কমলা বর্ণের এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ বা রঞ্জক পদার্থ থাকে, যেগুলো খাওয়ার পর মানবদেহে ভিটামিন-এ, তে রুপান্তরিত হয়। এদের ক্যারটিন বা প্রাক ভিটামিন-এ বলে। সবুজ বা রঙিন শাক সবজি, হলুদ ফলমুল, মিষ্টি কুমড়া, গাজর, মিষ্টি আলু, পাকা পেঁপে, পাকা আম, পাকা কাঁঠাল ইত্যাদিতে প্রাক ভিটামিন-এ বিদ্যমান ।
অভাবজনিত লক্ষণ
১) ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ দেখা দেয়। এই রোগ হলে রাতের বেলায় অল্প আলোতে বা অন্ধকারে দেখার অসুবিধা ঘটে।
২) এ ছাড়া ভিটামিন-এ এর অভাবে চোখের ঝিল্লি শুষ্ক হয়ে প্রদাহ দেখা দেয়, যাকে জেরোপথ্যালমিয়া বলে। ৩) ভিটামিন এ-এর অভাবে চোখের পর্দার অস্বচ্ছতাও হতে পারে। একে কেরাটোম্যালেসিয়া বলে।
৪) এই ভিটামিনের অভাবে চামড়ার শুষ্কতা হতে পারে।
ভিটামিন-এ'র অভাবে সৃষ্ট চোখের বিভিন্ন রোগ
৫) রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা হ্রাস পায়।
৬) ভিটামিন-এ এর ঘাটতি হলে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ৷
ভিটামিন—'ডি'
ভিটামিন-ডি এর রাসায়নিক নাম ক্যালসিফেরোল। এটা রিকেট রোগ প্রতিরোধ করে বলে এই ভিটামিনকে রিকেট রোগ প্রতিরোধক ভিটামিন বলে। এটা চর্বিতে দ্রবণীয় কিন্তু পানিতে দ্রবণীয় নয়। তাপে নষ্ট হয় না ।
ভিটামিন-ডি এর কাজ -
উৎস –
অভাবজনিত রোগ –
১) রিকেট – ভিটামিন-ডি এর অভাবে শিশুদের রিকেট হয়। এই রোগে নিচের লক্ষণগুলো দেখা যায়-
শিশুর হাড় নরম ও অপরিণত হওয়ার ফলে শরীরের বৃদ্ধি হয় না। • পায়ের হাড়গুলো বেঁকে ধনুকের মতো আকৃতির হয়।
২) অস্টিওম্যালেসিয়া -এই রোগ গর্ভবতী ও স্তন্যদাত্রী মা ও বয়স্কদের হয়। এর লক্ষণগুলো হলো-
কাজ – ভিটামিন-এ ও ডি এর অভাবে আমাদের দেহে কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও দেখুন...